অযোধ্যায় রামজন্ম ভুমি প্রসঙ্গে , অন্য অনেক বিষয়ে আজকাল ভারতে তথা সমগ্র বিশ্বে হিন্দু একটি আলোচ্য বিষয় । আমার আলোচনার বিষয় হিন্দু প্রসঙ্গে ।
আভমান কাল থেকে উত্তরে হিমালয় পর্বত থেকে দক্ষিণে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভুভাগ ভরত রাজার নামানুসারে ভারতবর্ষ নামে পরিচিত । বিষ্ণু পুরানে এর স্পষ্ট উল্লেখ আছে । " উত্তর ম য ৎ সমুদ্র স্য হিমাদ্রেশ্চব ------- নাম ভারতী যত্র সন্ততি " । প্রশাসনের দিক থেকে বিভিন্ন রাজা বিভিন্ন রাজ্যে রাজত্ব করতেন ।আবার সকল রাজারা যে রাজাকে মান্য করতেন তিনি হতেন রাজ চক্রবর্তী । দ্বাদশ বর্ষের অন্তে অনুষ্ঠিত হত কূম্ভ মেলা । তিনি এই মেলা পরিচালনা করতেন । পারসিক ,আরবিয় , পরবর্তী সময়ে গ্রীক রা ভারতবর্ষের সিন্ধু নদের নামে জানত । পারসিক ধর্ম গ্রন্থ আবেস্তাতে বলা সিন্ধু নদের বসবাস কারীদের হিন্দু বলা হয়েছে । সপ্ত সিন্ধু অঞ্চলের বাসিন্দা দের হিন্দু বলা হয় । এই জন গোষ্ঠী কে হিন্দু বলা হয় । আর এদেশকে বলা হত হিন্দুস্থান । আর ভারতবর্ষ হিন্দুস্থান নামে পরিচিত হত । পরবর্তী কালে ভারতবর্ষ কে India নামে পরিচিত হয় ।
বিদেশী আক্রমণ কারী হিসাবে গ্রীক ,শক , হুন , প্রভৃতি জাতির লোকেরা এদেশে এসে স্থানীয় লোক দের সভ্যতা সংস্কৃতি গ্রহণ করে এমন ভাবে মিশে গিয়েছিল যে কিছু দিনের মধ্যে তাদের অস্তিত্ব লোপ পেয়ে ছিল । কিন্তু আক্রমণ কারী হিসাবে বিদেশী মুসলমানেরা যখন এদেশে বসবাস করতে লাগল তখন তাদের স্বতন্ত্র ভাব ধারা বজায় রেখেছিল । সেই সময় থেকে ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতি ধ্বংস করার অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে । তারা ভয় দেখিয়ে , লোভ দেখিয়ে মুসলমান করতে থাকে । মন্দির , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,সভ্যতা সংস্কৃতির নিদর্শন ধ্বংস করতে থাকে । সভ্যতা সংস্কৃতি র ইতিহাস লোপ করার জন্যে মন্দির ,পুঁথি ,জ্ঞান ভাণ্ডার ধ্বংস করতে থাকে । উল্লেখ্য নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ।
প্রকৃত পক্ষে ভারতের মধ্য যুগের ইতিহাস একরকম পাশবিক অত্যাচারের ইতিহাস। এই রুপ অত্যাচার সহ্য , সংগ্রাম করে যারা হিন্দু হিসাবে বেচে ছিলেন আজকের হিন্দুদের কাছে তাঁরা প্রাতঃ স্মরণীয় । সহস্র বছর আজ মুসলমান তারা সাবধানে হিন্দু সঙ্গে প্রভেদ রক্ষা করে চলেছে , সুযোগ পেলেই হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে । হিন্দুদের হত্যা করছে ,হিন্দুদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে । তবে ভারতের সভ্যতা সংস্কৃতি তে হিন্দু সংস্কৃতি মুসলিম সংস্কৃতি বলে কিছু নেই । ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতি ও হিন্দু সভ্যতা এক অভিন্ন সংস্কৃতি । প্রত্যেক মানব গোষ্ঠী র ব্যাক্তিগত ও সামাজিক জীবনধারা মধ্যে একটা বৈ শিষ্ট হচ্ছে তার সভ্যতা । অন্য বৈ শিষ্ট তার সংস্কৃতির পরিচয় । কোন মানব গোষ্ঠী র তার পোশাক পরিচ্ছদ , খাদ্য ,আবাসস্থান ব্যবসা বানিজ্য ধন সম্পদ শাসন রাজনীতি যুদ্ধ অস্ত্র শস্ত্র প্রভৃতি তার সভ্যতার সুচনা করে । ধর্ম মত ,দর্শন ,সাহিত্য ,শিল্প ,সঙ্গীত প্রভৃতি তার সংস্কৃতি সুচিত হয় ।
হিন্দু নামের সাথে হিন্দু জীবন ধারা কথা স্বাভাবিক ভাবে এসে যায় ।
মুনি ঋষি দের সাধনা লব্ধ হিন্দু জীবনধারায় সভ্যতার তুলনায় সংস্কৃতি র স্থান অনেক উচুতে । সংস্কৃতির মধ্যে প্রধান স্থান অধিকার করে ধর্ম বা আধ্যাত্মবাদ । হিন্দুরা মনে করে সৃষ্টি র স্বরুপ অখণ্ড মণ্ডলাকার , পিণ্ড থেকে ব্রমান্দ পর্যন্ত তার অস্তিত্ব । অর্থাৎ শ্রদ্ধা ভক্তি ত্যাগ তিতখা দয়া মায়া স্নেহ ভালবাসা প্রভৃতি গুন গুলির মর্যাদা দান । পিণ্ড থেকে ব্রমান্দ পর্যন্ত । হিন্দু মনে করে ব্যক্তি পরিবারের সাথে একাত্ম পরিবার সমাজের সাথে একাত্ম আর সমাজ রাষ্ট্রের সাথে একাত্ম এবং রাষ্ট্র মানব জাতির সাথে একাত্ম । সবাই অমৃতের পুত্র । এই জীবনাদর্শ ,হিন্দু শুধু তাদের জন্য নয় সকল মানুষের জন্য গ্রহণ করে ছিল । তাই হিন্দুদের ধর্মের নাম সনাতন মানব ধর্ম ।
বর্তমান কাদের হিন্দু বলা হবে ?
ভারতে উদ্ভূত সকল ধর্মের অনুসারী সকলেই হিন্দু । ভারতবর্ষের মুসলমান খৃস্টান সকলেই হিন্দু । কারন তাদের শরীরে বইছে হিন্দু রক্ত । তাদের পিতামহ প্রপিতামহ ছিল হিন্দু । অন্যান্যদের মত তাদের ঐ তিহ্য ও হিন্দু ঐ তিহ্য সেই দৃষ্টি তে হিন্দুদের মত তাদের আদর্শ পুরুষ শ্রীরামচন্দ্র । সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি রহস্যে শারীরিক আদলের সমতা থাকা সত্ত্বেও শারীরিক বৃদ্ধিতে সমতা আনা সম্ভব নয় ।
তেমনি মানুষের মস্তিস্কের সাম্যবাদও আনা সম্ভব নয় । সকল মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি সমারথ সমান নয় ।
মহৎ থেকে মহত্তর ও মহত্তমের ধারনা করতেও সকলে সমভাবে ক্ষমতাবান নয় । তাই বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ব্যক্তি স্তর পর্যায় অনুযায়ী অধ্যাত্ম সাধনায় হিন্দুদের যত মত তত পথ । সৃষ্টি স্রস্টা আত্মা জ্ঞান ভক্তি কর্ম ভুত ভবিস ৎ বর্তমান ইহকাল পরকাল অদৃষ্ট প্রভৃতি বিষয়ের স ম্নদ্ধ ত্ব একই পদ্ধতি তে বুঝতে পারা বা সঠিক ভাবে বুঝতে পারা সকলের পক্ষে সম্ভব নয় ।
তবে সকল হিন্দুর কতগুলি লক্ষণ লক্ষ্য করা যায় । অধ্যাত্ম বাদ জন্মান্তর বাদ অবিনশ্বর আত্মা মানবিক মূল্যবোধ একাত্ম মানব বাদ প্রভৃতিতে বিশ্বাস করে । শাস্ত্র রামায়ণ মহাভারত মাতৃ জাতি স্বপ্ত সিন্ধু সংস্কৃত ভাষা প্রভৃতির উপর হিন্দুদের আছে গভীর শ্রদ্ধা । প্রত্যেক হিন্দুর থাকা উচিত গভীর দেশপ্রেম । ভারতের অতীতের গৌরব ময় ইতিহাসের জন্য গর্ব বোধ । আর আক্রমণ কারীদের কাছে ভারতবর্ষে র হাজার হাজার বছর পরাধীনতার গ্লানিবোধ । পরিশেষে বলতে হয় প্রত্যেক হিন্দু তথা ভারতীয়দের স্বপ্ন দেখে " ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে ।"
আভমান কাল থেকে উত্তরে হিমালয় পর্বত থেকে দক্ষিণে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভুভাগ ভরত রাজার নামানুসারে ভারতবর্ষ নামে পরিচিত । বিষ্ণু পুরানে এর স্পষ্ট উল্লেখ আছে । " উত্তর ম য ৎ সমুদ্র স্য হিমাদ্রেশ্চব ------- নাম ভারতী যত্র সন্ততি " । প্রশাসনের দিক থেকে বিভিন্ন রাজা বিভিন্ন রাজ্যে রাজত্ব করতেন ।আবার সকল রাজারা যে রাজাকে মান্য করতেন তিনি হতেন রাজ চক্রবর্তী । দ্বাদশ বর্ষের অন্তে অনুষ্ঠিত হত কূম্ভ মেলা । তিনি এই মেলা পরিচালনা করতেন । পারসিক ,আরবিয় , পরবর্তী সময়ে গ্রীক রা ভারতবর্ষের সিন্ধু নদের নামে জানত । পারসিক ধর্ম গ্রন্থ আবেস্তাতে বলা সিন্ধু নদের বসবাস কারীদের হিন্দু বলা হয়েছে । সপ্ত সিন্ধু অঞ্চলের বাসিন্দা দের হিন্দু বলা হয় । এই জন গোষ্ঠী কে হিন্দু বলা হয় । আর এদেশকে বলা হত হিন্দুস্থান । আর ভারতবর্ষ হিন্দুস্থান নামে পরিচিত হত । পরবর্তী কালে ভারতবর্ষ কে India নামে পরিচিত হয় ।
বিদেশী আক্রমণ কারী হিসাবে গ্রীক ,শক , হুন , প্রভৃতি জাতির লোকেরা এদেশে এসে স্থানীয় লোক দের সভ্যতা সংস্কৃতি গ্রহণ করে এমন ভাবে মিশে গিয়েছিল যে কিছু দিনের মধ্যে তাদের অস্তিত্ব লোপ পেয়ে ছিল । কিন্তু আক্রমণ কারী হিসাবে বিদেশী মুসলমানেরা যখন এদেশে বসবাস করতে লাগল তখন তাদের স্বতন্ত্র ভাব ধারা বজায় রেখেছিল । সেই সময় থেকে ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতি ধ্বংস করার অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে । তারা ভয় দেখিয়ে , লোভ দেখিয়ে মুসলমান করতে থাকে । মন্দির , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,সভ্যতা সংস্কৃতির নিদর্শন ধ্বংস করতে থাকে । সভ্যতা সংস্কৃতি র ইতিহাস লোপ করার জন্যে মন্দির ,পুঁথি ,জ্ঞান ভাণ্ডার ধ্বংস করতে থাকে । উল্লেখ্য নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ।
প্রকৃত পক্ষে ভারতের মধ্য যুগের ইতিহাস একরকম পাশবিক অত্যাচারের ইতিহাস। এই রুপ অত্যাচার সহ্য , সংগ্রাম করে যারা হিন্দু হিসাবে বেচে ছিলেন আজকের হিন্দুদের কাছে তাঁরা প্রাতঃ স্মরণীয় । সহস্র বছর আজ মুসলমান তারা সাবধানে হিন্দু সঙ্গে প্রভেদ রক্ষা করে চলেছে , সুযোগ পেলেই হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে । হিন্দুদের হত্যা করছে ,হিন্দুদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে । তবে ভারতের সভ্যতা সংস্কৃতি তে হিন্দু সংস্কৃতি মুসলিম সংস্কৃতি বলে কিছু নেই । ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতি ও হিন্দু সভ্যতা এক অভিন্ন সংস্কৃতি । প্রত্যেক মানব গোষ্ঠী র ব্যাক্তিগত ও সামাজিক জীবনধারা মধ্যে একটা বৈ শিষ্ট হচ্ছে তার সভ্যতা । অন্য বৈ শিষ্ট তার সংস্কৃতির পরিচয় । কোন মানব গোষ্ঠী র তার পোশাক পরিচ্ছদ , খাদ্য ,আবাসস্থান ব্যবসা বানিজ্য ধন সম্পদ শাসন রাজনীতি যুদ্ধ অস্ত্র শস্ত্র প্রভৃতি তার সভ্যতার সুচনা করে । ধর্ম মত ,দর্শন ,সাহিত্য ,শিল্প ,সঙ্গীত প্রভৃতি তার সংস্কৃতি সুচিত হয় ।
হিন্দু নামের সাথে হিন্দু জীবন ধারা কথা স্বাভাবিক ভাবে এসে যায় ।
মুনি ঋষি দের সাধনা লব্ধ হিন্দু জীবনধারায় সভ্যতার তুলনায় সংস্কৃতি র স্থান অনেক উচুতে । সংস্কৃতির মধ্যে প্রধান স্থান অধিকার করে ধর্ম বা আধ্যাত্মবাদ । হিন্দুরা মনে করে সৃষ্টি র স্বরুপ অখণ্ড মণ্ডলাকার , পিণ্ড থেকে ব্রমান্দ পর্যন্ত তার অস্তিত্ব । অর্থাৎ শ্রদ্ধা ভক্তি ত্যাগ তিতখা দয়া মায়া স্নেহ ভালবাসা প্রভৃতি গুন গুলির মর্যাদা দান । পিণ্ড থেকে ব্রমান্দ পর্যন্ত । হিন্দু মনে করে ব্যক্তি পরিবারের সাথে একাত্ম পরিবার সমাজের সাথে একাত্ম আর সমাজ রাষ্ট্রের সাথে একাত্ম এবং রাষ্ট্র মানব জাতির সাথে একাত্ম । সবাই অমৃতের পুত্র । এই জীবনাদর্শ ,হিন্দু শুধু তাদের জন্য নয় সকল মানুষের জন্য গ্রহণ করে ছিল । তাই হিন্দুদের ধর্মের নাম সনাতন মানব ধর্ম ।
বর্তমান কাদের হিন্দু বলা হবে ?
ভারতে উদ্ভূত সকল ধর্মের অনুসারী সকলেই হিন্দু । ভারতবর্ষের মুসলমান খৃস্টান সকলেই হিন্দু । কারন তাদের শরীরে বইছে হিন্দু রক্ত । তাদের পিতামহ প্রপিতামহ ছিল হিন্দু । অন্যান্যদের মত তাদের ঐ তিহ্য ও হিন্দু ঐ তিহ্য সেই দৃষ্টি তে হিন্দুদের মত তাদের আদর্শ পুরুষ শ্রীরামচন্দ্র । সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি রহস্যে শারীরিক আদলের সমতা থাকা সত্ত্বেও শারীরিক বৃদ্ধিতে সমতা আনা সম্ভব নয় ।
তেমনি মানুষের মস্তিস্কের সাম্যবাদও আনা সম্ভব নয় । সকল মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি সমারথ সমান নয় ।
মহৎ থেকে মহত্তর ও মহত্তমের ধারনা করতেও সকলে সমভাবে ক্ষমতাবান নয় । তাই বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ব্যক্তি স্তর পর্যায় অনুযায়ী অধ্যাত্ম সাধনায় হিন্দুদের যত মত তত পথ । সৃষ্টি স্রস্টা আত্মা জ্ঞান ভক্তি কর্ম ভুত ভবিস ৎ বর্তমান ইহকাল পরকাল অদৃষ্ট প্রভৃতি বিষয়ের স ম্নদ্ধ ত্ব একই পদ্ধতি তে বুঝতে পারা বা সঠিক ভাবে বুঝতে পারা সকলের পক্ষে সম্ভব নয় ।
No comments:
Post a Comment