Monday, January 25, 2016

৬৭ তম প্রজাতন্ত্র দিবস ।

ভারতের ৬৭ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে সবাই কে আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা //

Monday, January 11, 2016

"'ভারতের সবাই নয় , অ সহিষ্ণু কেবল কয়েক জন ঃ তসলিমা

সংবাদ দাতা , নিউ দিল্লী

২০১৫ অ সহিষ্ণুতা নিয়ে বিতর্ক জুড়ে ছিল সারা বছর । অ সহিষ্ণুতা নিয়ে শারুখ খান, অমির খান রা । তবে তার সাথে সুরে সুর মিলিয়ে বলতে রাজি নয় তসলিমা । এটা তার পর্যবেক্ষণ । দিল্লী সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে রাজধানী এসেছেন এই নির্বাসিত লেখিকা সেখানে অ সহিষ্ণুতা এক বিতর্ক সভায় তসলিমা বলেন " ভারত অ সহিষ্ণু নয় । অ সহিষ্ণু দেশের কিছু মানুষ । সব দেশে সব সমাজেই  এই রকম কয়েক জন মানুষ থাকে । এই দেশে কেবল হিন্দুদের ধর্মীয় গোঁড়ামি নিয়েই যত আলোচনা হচ্ছে । অ সহিষ্ণুতা বিতর্কে একই ভাবে নিশানা হওয়া উচিত মুসলিম ধর্ম অন্ধতা ,

বিরুদ্ধ স্বর শুনলে কণ্ঠরোধ করার রোগ সারবে শুধু বাক স্বাধীনতা দিলে । তিনি বলেন " রামমোহন রায় যখন সতী দাহ প্রথা রদ করেন , অনেকে আঘাত পেয়েছেন ।নারী শিক্ষায় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর যখন ন্তুন আলো দেখালেন ,আপত্তি কম ওঠে নি । ধর্ম অন্ধদের গোঁড়ামি নিয়ে প্রশ্ন তুললে তারা আঘাত পাবে , এই ভেবে কি সকলে মুখ বন্ধ করে রাখবে না কি ? 

এই বাক স্বাধীনতা নিয়ে তসলিমার লড়াই শুরু করে ছিলেন বহু বছর । লজ্জা উপন্যাস মুসলিম ধর্মীয় ভাবাবেগ আঘাত করেছে এই অভিযোগ তাকে তার নিজের দেশ বাংলা দেশ থেকে তাকে বিতারিত করা হয় । প্রান নাশ হুমকি নিয়ে মাথায় নিয়ে আর ধর্মীয় মৌল বাদি দের ফতোয়া মাথায় আজ দেশ হীন হয়ে পড়েছেন । ভারতে তার বই দ্বিখণ্ডিত কম বিতর্ক হয় নি । আইন শৃঙ্খলা র সমস্যা হতে পাড়ে এই যুক্তি দেখিয়ে ২০০৩ এ বইটি নিষিদ্ধ করা হয় । কলকাতা তার প্রিয় শহর থেকে তাঁকে বিতারিত করে ২০০৭ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তার বামপন্থী ফ্রন্ট সরকার । আমরা চাই তিনি এই বাংলায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করুক । আজকে যারা অ সহিষ্ণুতা নিয়ে যারা চিৎকার করছে তাদের কাছে আমার আবেদন তসলিমা কে ফেরত চাই ।